ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের তদন্তে বলা হয়েছে, আল জাজিরার প্রতিবেদক শিরিন আবু আকলাকে একজন ইসরায়েলি সেনা ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।
তদন্তের ফলাফল ঘোষণা করে ফিলিস্তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ঘটনার সময় একমাত্র গুলি চলে দখলদার বাহিনীর তরফ থেকে যার উদ্দেশ্য ছিল হত্যা’।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিবেদনটিকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তাদের নিজস্ব তদন্ত চালাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তাদের দাবি, কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনিরাও শিরিন আবু আকলাকে গুলি করে থাকতে পারে।
গত ১১ মে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানের প্রতিবেদন করার সময় ৫১ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
আল জাজিরা বলেছে, তারা শিরিনের হত্যার বিষয়টি ও সেইসঙ্গে ২০২১ সালের মে মাসে গাজায় তাদের দপ্তরে ইসরায়েলের বোমা হামলার ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করছে। চ্যানেলটি ঘটনার পরই বলেছিল, ইসরায়েলি সেনারা ঠাণ্ডা মাথায় শিরিনকে হত্যা করেছে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, শিরিনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া গুলিটি ইসরায়েলি সেনারাই চালিয়েছিল। তবে ইসরায়েল তা অস্বীকার করে আসছে। তারা বলেছে, গুলিটির উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি কারণ, ফিলিস্তিনিরা শিরিনের শরীরে পাওয়া বুলেট পরীক্ষা করতে দেওয়া বা যৌথ তদন্ত করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েল বলেছে, তারা তাদের এক সেনার এমন একটি অস্ত্র শনাক্ত করেছে যা থেকে গুলিটি ছোড়া হয়ে থাকতে পারে। তবে বুলেট বিশ্লেষণ না করে এটি নিশ্চিত করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল আকরাম আল-খতিব বলেন, শিরিন আবু আকলাকে হত্যা করা ৫.৫৬ মিমি বুলেটটি ন্যাটো বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত। এতে স্টিলের উপাদান রয়েছে।
আল-খতিব বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বুলেটটি ইসরায়েলিদের হাতে তুলে দেবে না এবং এর কোনো ছবিও প্রকাশ করা হবে না। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, তারা ইসরায়েলি তদন্তকারীদের বিশ্বাস করেন না। সূত্র: বিবিসি