বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির কারণে চাহিদার তুলনায় ডলারের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের বিনিময় হারের ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। করোনা অতিমারির পর এটি ব্যাংক খাতের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি। এ দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০০ শিক্ষার্থীকে উচ্চতর শিক্ষার জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান সেলিম রহমানের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও স্নাতক পর্যায়ের ২০০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। চার বছরের জন্য প্রত্যেকে মাসে সাড়ে ৩ হাজার এবং এককালীন ৮ হাজার টাকা করে বৃত্তি পাবেন।
গভর্নর বলেন, ডলারের সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিসহ নীতিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রণোদনা পাওয়া সহজ করা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও বিভিন্ন নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলো একই দরে ডলার বিক্রিতে ইতোমধ্যে সম্মত হয়েছে। এখন আমদানিতে দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এই মুহূর্তে বিলাসী পণ্য আমদানি থেকে বিরত থাকতে হবে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে আরোপিত মার্জিন হার মেনে চলতে হবে। বিদেশ ভ্রমণে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এভাবে করোনা সংকটের মতো ডলারের সংকটও কেটে যাবে। মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাও সম্ভব হবে।