বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আলেমসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটামাত্র দাবি, দুই দিনের মধ্যে সকল আলেম, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক কর্মীকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ১০ হাজার লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করব। ওদের জামিন ছাড়া এবার হাইকোর্টে কোনো জামাত হবে না।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন।
‘হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দি ও ধর্মীয় দীর্ঘ কারাবাস, নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে গণমতামত কেন্দ্র। কারাবন্দি হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ আলেম-উলামাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘মামুনুল হকের আইনি অধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তার পরিবারকে গত ১৫ মাসে একবার দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। মামুনুল হকসহ অন্য আলেমদের তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া জালেমের কাজ। ’
তিনি বলেন, ‘হাজি সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন; কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা ব্রিজ দেখতে দিতে পারেন না। তাহলে আপনাদের বিচার কোথায়?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘চিন্তা করেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) গাড়ি সামনে, পরে খালেদা জিয়ার গাড়ি, আর তার পেছনে তিন মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়ায়া থাকবে। আস্তে আস্তে যাব। এখনো সময় আছে, অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমার রাতে চলেন না যাই! এইটাই হবে বাংলাদেশ। তার আগে মুক্তি দিতে হবে… এনাদেরও (আলেম) নিয়ে যাই। ’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি আলেম-উলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এই মুক্তির জন্য লড়াইকে যত দূর নেওয়া উচিত আমি তত দূর পর্যন্ত এই দলে যেতেও রাজি আছি। আমি যাদেরকে যাদেরকে পারব তাদের নিয়েই এই লড়াই করতে চাই। ’
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে সরকার সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আমাদের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি না থাকার কারণে তারা রিল্যাক্সে পার পেয়ে যাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘আলেম-উলামা বা সাধারণ মানুষ বলেন, আগামীতে যখন ডাক আসবে, পরিস্থিতি তৈরি হবে, আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজ পথে থাকব। ’