সিলেটে বন্যার্তদের জন্য উঠানো টাকায় পদ্মা সেতু ভ্রমণে গেছেন দলের নেতারা- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে এমন অভিযোগ আনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন খন্দকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক রিটন রায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দও বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৬ জুলাই মহসীন খন্দকার ফেসবুকের নিজ আইডি থেকে লাইভে এসে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বক্তব্য দিয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছে।
এ ছাড়া একাধিক রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী মামলা থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১৭ জুলাই জেলা ও সদর যুবলীগের যৌথসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহনূর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। মহসীন খন্দকারকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে।
মহসীন খন্দকার তার ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, ‘সিলেটে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য করতে জেলা ও সদর উপজেলা যুবলীগ টাকা তোলে। আমিও পাঁচ হাজার টাকা দেই। কিন্তু অনেকবার বলার পরও তারা সাহায্য দেয়নি। উপরন্তু এ টাকা দিয়ে যুবলীগের নেতারা পদ্মা সেতু দেখতে যায়। ’
এ সময় তিনি এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন। বহিষ্কারের পর তিনি নিজের উপর অন্যায় হয়েছে বলে আবার ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য রাখেন।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘লাইভে এসে মিথ্যাচার করার পাশাপাশি মহসীন খন্দকারের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ থাকায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খোকনের ব্যক্তিগত টাকায় পদ্মা সেতু ভ্রমণে গেছে যুবলীগ। ’