সংগৃহীত ছবি।
অস্ট্রেলিয়ায় চার বছর আগে এক তরুণীকে খুনের অভিযোগে পলাতক এক ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কুইন্সল্যান্ড পুলিশ ৩৮ বছর বয়সী রাজবিন্দর সিংকে ধরার জন্য এক মিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তোয়াহ কর্ডিংলের (২৪) কুকুর রাজবিন্দর সিংকে দেখে ঘেউ ঘেউ করেছিল বলে সে ওই তরুণীকে ২০১৮ সালে হত্যা করেন। দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত রাজবিন্দর সিং পাঞ্জাবের বাটার কালানের বাসিন্দা। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে দিল্লির একটি আদালতে পেশ করা হয় এবং ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার রাজবিন্দর সিং সহকারী নার্স হিসেবে এবং হত্যার শিকার তোয়াহ কর্ডিংলে ফার্মেসি কর্মী হিসেবে কুইন্সল্যান্ডে কর্মরত ছিলেন। কর্ডিংলেকে হত্যার দুই দিন পর, রাজবিন্দর তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে রেখে ভারতে পালিয়ে যায়।
কর্ডিংলেকে শেষবার তার কুকুরকে নিয়ে ওয়ানগেটি বিচে হাঁটতে দেখা গেছে। এরপরই তাকে হত্যা করা হয়। অস্ট্রেলিয়ান সরকার ভারতকে ২০২১ সালের মার্চে রাজবিন্দর সিংকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। চলতি বছরের নভেম্বরে আবেদনটি অনুমোদিত হয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারপোল রাজবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করেছে। তদন্তকারী জানায়, রাজবিন্দর সিং ওই তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করছেন। খুনের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ান যুবতী তোয়াহ কর্ডিংলের কুকুর তাঁকে দেখে ঘেউ ঘেউ করেছিল।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এ কারণে তিনি কর্ডিংলিকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ কুইন্সল্যান্ডের ওয়াংগাতেই বিচের বালিতে পুঁতে রাখা হয়। কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটরিনা ক্যারল দিল্লি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
কর্ডিংলের মা ভেনেসা গার্ডিনা বলেন, ‘আমার মেয়ে সুন্দর, আধ্যাত্মিক ছিল। আমার মেয়ের জীবন খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেল। যখন আমি দেখি আমার মেয়ের বন্ধুরা স্বামী ও সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন আমি আমার মেয়েকে মিস করি এবং ভাবি আমার মেয়েটা কত কিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, কর্ডিংলে ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বরে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরের দিন তার মৃতদেহ ওয়াঙ্গেটি সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়।