ফিল্মস্টাইলে দোকানের টাকা লুট করে পালানোর সময় ৩ যুবক ধরা

Spread the love

বগুড়ার নন্দীগ্রামে দোকানিকে ব্যস্ত রেখে ফিল্মস্টাইলে ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুট করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তিন যুবক। পরে স্থানীয় জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে এ দিন সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাঠান মির্জাপুর চৌমাথা বাজারের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

লুট করা নগদ ৫ হাজার ১১০টাকাসহ আটককৃতরা হলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার খিদিরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে সুমন (২৬), একই এলাকার তসলিম আকন্দের ছেলে ফারুক (২৮) ও ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার দাদরা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৫)। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশন বিহীন একটি পুরনো বাজাজ মোটরসাইকেল ও দুটি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন খুদ-ভূষি দোকানি উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের নিমাইদিঘী মধ্যপাড়ার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মনির উদ্দিন।

মামলার বিবরণে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঠান মির্জাপুর চৌমাথা বাজারের ওই দোকানে সকালে দুই যুবক ১০ কেজি খুদ কিনতে যায়। বাজারে তাল গাছের নিচে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আরেকজন। ক্যাশ থেকে উঠে দোকানি মনির উদ্দিন বস্তা থেকে খুদ বের করার সময় এক যুবক দোকানে ঢুকে ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুট করে দু’জনই দৌড় দেয়। দোকানির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে তাল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলের যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে দেওগ্রাম বাজারে মোটরসাইকেলসহ তিন যুবককে আটক করে গণপিটুনি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে জনতা। তাদের আটক করে পাঠান মির্জাপুর চৌমাথা বাজারে নিয়ে এসে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পিটুনির শিকার তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিজরুলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিনব কায়দায় দোকান থেকে টাকা চুরি করে পালানোর সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে বগুড়া কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।