পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত নয়াপল্টন

Spread the love

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়েছেন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।

নয়াপল্টনে সকাল থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।

দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। মুহূর্তেই বিএনপি নেতাকর্মীরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় মিছিল করেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন।

এদিকে, নিয়াজ মাহমুদ ও আমিনুল ইসলাম নামে দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিক। দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক শামসুল আলম বাদশাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার কপালে ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নিরীহ নেতা-কর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। যত হামলা করা হোক আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে।

ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বারবার অনুরোধ করার পরও তারা কথা শোনেনি। পুলিশ তাদের তুলে দিতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়।

প্রসঙ্গত, পছন্দের জায়গা না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপি গণসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।