দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন নিষ্পত্তিতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। নতুন এ নির্দেশনায় পাসপোর্টে দেওয়া তথ্যের গরমিল হলে তা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ভেতরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে।
তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বিবেচনা করতে হবে। প্রয়োজনে জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/দাখিল/কারিগরি/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের যেকোন একটি সনদপত্র বিবেচনা করা যেতে পারে।
এ ছাড়াও সংশোধনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদন করতে হবে বলেও পরিপত্রে জানানো হয়েছে। আবেদনপত্রের সাথে অধিদফতরের ওয়েবসাইট/সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে।
পরিপত্রটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার জেনারেল, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আগের পরিপত্রগুলো বাতিল করা হয়েছে। এ ইস্যুতে এর আগে মোট ৩টি পরিপত্র জারি করে এ বিভাগ।
এরমধ্যে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল হলে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে এনআইডিতে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট প্রদান করা যাবে।