ছবি: সংগৃহীত
বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ স্বেচ্ছায় সুলতানা কামাল সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) র্যাব সদরদপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ দাবি করেন।
ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজসহ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ধরে র্যাব তদন্ত করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টসহ অন্যান্য সব সংশ্লিষ্ট আলামত বিবেচনা করে আমাদের তদন্তে বের হয়ে এসেছে যে বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিন স্বেচ্ছায় সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ঘটনার রাত ২টা ১ মিনিটে যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা থেকে ফারদিনকে লেগুনায় উঠতে দেখা যায়। রাত আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে তিনি সুলতানা কামাল ব্রিজের অপর পাশে তারাবো বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লেগুনা থেকে নেমে যান।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, রাত ২টা ২৬ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের তারাবো প্রান্তে ফারদিনের অবস্থান করছিলেন। পরে রাত ২টা ৩৪ মিনিটে তিনি ৫০০ মিটার দীর্ঘ সুলতানা কামাল ব্রিজের প্রায় মাঝখানে পৌঁছান। পরে রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ফারদিন ব্রিজের রেলিং ক্রস করেন এবং ২টা ৩৪ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ব্রিজ থেকে স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দেন।
তিনি জানান, পানিতে পড়ার পর রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ফারদিনের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় এবং ২টা ৫১ মিনিটে ফারদিনের হাতঘড়িতে পানি ঢুকে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।