টিকটকে পরিচয়ের পর পালিয়ে বিয়ে, পরে তরুণীর করুণ পরিণতি

Spread the love

টিকটক করতে গিয়ে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম ও পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন তরুণী বৃষ্টি। কিন্তু জীবনে আসেনি সুখ। বরং নেমে এসেছে করুণ পরিণতি। জীবন দিতে হয়েছে তাকে। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার মরদেহ বাবার বাড়ির পাশে রেখে পালিয়েছে স্বামী। শুধু তাই নয়, পরে বৃষ্টির ভাইকে ফোন করে এ কথা নিজেই জানায় সে।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে লাকসাম পৌরসভার পশ্চিমগাঁও কলেজপাড়া এলাকায়। নিহত তরুণীর নাম জামেলা আক্তার বৃষ্টি। আর অভিযুক্ত স্বামী আলাউদ্দীন। ছয় মাস আগে তারা বিয়ে করেন।

গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাতে স্ত্রী বৃষ্টির মরদেহ শ্বশুরবাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যায় আলাউদ্দীন। তবে আলাউদ্দীনের সঙ্গে আসা দুই সহযোগী ও সিএনজি আটক করে স্থানীয় জনতা

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও জনতার হাতে আটককৃত দুই ব্যক্তি এবং তাদের যাতায়াতকৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

নিহত জামেলা আক্তার বৃষ্টি (১৮) পৌরসভার পশ্চিমগাঁও কলেজপাড়া এলাকার অটোরিকশাচালক জামাল মিয়ার মেয়ে। পলাতক স্বামী আলাউদ্দিন (২৭) নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর এলাকার বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদের ছেলে।

আটক হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন- নোয়াখালী জেলার চাটখিল এলাকার সিএনজি চালক বেলায়েত হোসেন ও সহযোগী বাসা ভাড়াটিয়া আশিকুর রহমান।

বৃষ্টির ভাই মোহাম্মদ খোকন মিয়া জানান, রাতে আলাউদ্দীন ফোন করে বলে বৃষ্টি মারা গেছে। এরপর রাত সাড়ে ১২টায় আলাউদ্দীন ফোন করে বলে তোমার বাড়ির সামনে একটি দোকানের পেছনে রাস্তার পাশে তোমার বোনের মরদেহ রাখা আছে। ঘর থেকে এগিয়ে এসে দেখি দ্রুতগতিতে একটি সিএনজি চলে যাচ্ছে। আমি আর্তচিৎকার দিলে এলাকার স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে সিএনজিসহ দুইজন ব্যক্তিকে আটক করে। তবে আলাউদ্দীন পালিয়ে যায়।

লাকসাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম জানান, তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত পালিয়ে আছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।