তুনিশার আত্মহত্যা মামলায় শীজান খানের জামিন আবেদন বাতিল

Spread the love

শুটিং সেটে আত্মহত্যা করা অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার আত্মহত্যা মামলায় অভিযুক্ত অভিনেতা শীজান খানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি আদালত।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) অভিনেতার জামিন বাতিল করেছে মুম্বাইয়ের ভাসাই আদালত। মামলার প্রধান আসামি শীজান খান বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। অভিনেতা এখন থানে কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকবেন। শুনানিতে শীজান খানের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে তুনিশার আত্মহত্যার সাথে শীজানের কোনও সম্পর্ক নেই। অপরদিকে শর্মা পরিবারের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন যে শীজান সত্য এড়িয়ে যাচ্ছেন, তাকে জামিন দেওয়া উচিত নয়। অত্ঃপর আদালত শীজানের জামিন বাতিল করেন।
প্রয়াত তুনিশা শর্মা ও শীজান খান

২৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই শীজান পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তুনিশার মা বনিতা শর্মা মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে শীজানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তুনিশার সাবেক প্রেমিক শীজান খানকে। তুনিশার মায়ের দাবি, শীজান তার মেয়েকে ‘ব্যবহার’ করেছেন। শীজান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তুনিশাকে মারধর করা এবং জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও করেছেন তুনিশার মা। এমনকি তুনিশাকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিলে বাঁচানো যেত বলেও দাবি করেন তুনিশার মা বনিতা শর্মা। অভিযোগ করেন, শীজান ইচ্ছা করেই তুনিশাকে দুরের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, অথচ শুটিং সেটের কাছেই হাসপাতাল ছিল।

টেলিভিশন সিরিয়াল ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই-কাবুল’ এর শুটিং সেটে ২৪ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা (২১)। সাবেক প্রেমিক ও সহ-অভিনেতা শীজান খানের কারণেই আত্মহত্যা করে মারা গেছেন অভিনেত্রী, এমনটাই অভিযোগ রয়েছে তুনিশার পরিবারের। তুনিশার মৃত্যুর পর তার মা শীজান খানের বিরুদ্ধে মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। ২৫ ডিসেম্বর শীজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে শীজান খান।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস