ফাইল ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জজকোর্টে আইনজীবীরা যে ভাষায় কথা বলেছেন তা কমলাপুরের কুলিরাও ব্যবহার করেন না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
একইসঙ্গে এজলাসে হট্টগোলের সঙ্গে জড়িত ২১ আইনজীবীকে ফের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বিচার বিঘ্নিত করার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্ট আসেন ২১ আইনজীবী।
আইনজীবীরা হলেন মো. মফিজুর রহমান বাবুল, মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি এজলাস চলার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অশালীন ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এজলাস থেকে নামতে বাধ্য করা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের কনটেম্পট ব্যাচ রুল জারি করার পর অভিযুক্ত আইনজীবীরা আরও ক্ষিপ্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ ও ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে আরেক বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেন আইনজীবীরা।
পরে ৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার ওই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বিচার বিঘ্নিত করার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আইনজীবীদের তলব করা হয়।