তারেক-জোবায়দাকে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ

Spread the love

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এ মামলায় তারেক-জোবায়দাকে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রাণালয় থেকে এ গেজেট দাখিল করা হয়।

গেজেটে বলা হয়, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসংঘত কারণ রয়েছে যে তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।

দুদকের আদালতের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন দুদক। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা।

২০২১ সালের ১ এপ্রিল জোবাইদা রহমানের লিভ-টু-আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ওই বছরের ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এর প্রায় এক বছর পর গত বছরের ৭ এপ্রিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আবারও এ বিষয়ে শুনানি হলে আদালত আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এরপর ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।