মা-বাবা হলেন কেরলের রূপান্তরকামী যুগল জাহাদ পাভাল ও জিয়া পাভাল। কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের আগেই বুধবার সকালে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। জিয়া জানান, তাদের সন্তান ও জাহাদ দুজনেই সুস্থ। ২৩ বছর বয়সী রূপান্তরিত পুরুষ জাহাদ এবং ২১ বছর বয়সী রূপান্তরিত নারী জিয়া কিছুদিন আগেই নিজেদের ইনস্টাগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
এবারও সন্তান আসার আনন্দ সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রামে সদ্যোজাতের হাতের একটি অংশের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, আমাদের স্বপ্নের স্বর শুনতে পেলাম। দু’চোখ বেয়ে নেমে আসছে আনন্দাশ্রু। সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর শুভেচ্ছায়, প্রার্থনায় কোনো সমস্যা ছাড়াই আমাদের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখেছে। এই কঠিন সময়ে যারা আমার পাশে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।
৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন জাহাদ-জিয়া। দেখা হওয়ার পরেও তারা হরমোন থেরাপির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাদের মনে অভিভাবক হওয়ার ইচ্ছে আগে থেকেই ছিল। তাই কিছু দিনের জন্য তারা হরমোন থেরাপি বন্ধ রেখেছিলেন। শিশুর জন্মের পর আবার তারা হরমোন থেরাপি শুরু করবেন।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিয়া জানিয়েছিলেন, প্রথম থেকেই তারা সন্তান চেয়েছিলেন। রূপান্তরকামীরাও যে সাধারণ নিয়মেই অভিভাবক হতে পারেন। সে উদাহরণই সকলের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তারা।
অভিভাবক হতে পেরে জাহাদ-জিয়া দুজনেই খুব খুশি। কিছুদিন আগেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফটোশুটও করিয়েছেন তারা। জিয়া ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন সে সব ছবি। ছবিগুলো সোশালে ভাইরাল হতেই ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। খালি গায়ে স্ফীত উদরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জাহাদ। চোখেমুখে খুশির জেল্লা! শাড়ি পরে দক্ষিণী সাজে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জিয়া।
তবে শিশুটি ছেলে না মেয়ে- সে সম্পর্কে এখনই বিস্তারিত কোনো তথ্য তারা দিতে চাননি।