রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলায় আসা ৪ দর্শনার্থীর কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই ছাত্রলীগ নেতা। পরে ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালীমন্দিরের পাশ থেকে আটক করা হয়। আটক দুই নেতা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাইমেনুল ইসলাম ইমন ও শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব হোসেন রবীন। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (মাস্টার্স) ছাত্র।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই শিক্ষার্থী নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে বইমেলায় চাঁদপুর থেকে আসা এক দল দর্শনার্থীকে আটক করেন। তারা ওই দর্শনার্থীদের মাদক ব্যবসা করে এমন অভিযোগ তুলে তাদের শরীর তল্লাশি করতে থাকেন। তল্লাশির পরে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেন।
পরে ভুক্তভোগীরা তাদের কাছে আকুতি করে এবং বলে তাদের কাছে চাঁদপুরে ফেরার টাকা নেই। পরে ছিনতাইকারীরা ৬০০ টাকা ফেরত দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে উপস্থিত লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে এবং পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বলেন, দুই ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছি। ভুক্তভোগীরা শাহবাগ থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করায় আমরা তাদের পুলিশি হেফাজতে রেখেছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের অবস্থান সুস্পষ্ট। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব। পুলিশ আমাদের ঘটনাটি জানিয়েছে, আমরা তাদের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ইতিমধ্যে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও তাদের দুজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।