ছবি : সংগৃহীত
সাবেক বিএনপি নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
তিনি নির্বাচন কমিশনে সদ্য নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের যথাক্রমে তথ্যমন্ত্রী ও যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
নাজমুল হুদার জন্ম ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান জাগো দল গঠন করলে তিনি সেই দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হয়, তিনি ছিলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং তিনি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
১/১১ আমালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। ২০১০ সালে ২১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন, তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বহিষ্কৃত হলেও তিনি বিএনপির দলীয় কাজ করতে থাকেন এবং ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ২০১২ সালে ৬ জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
২০১২ সালের ১০ই আগস্ট নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পরের আবুল কালাম কর্তৃক বিএনএফ থেকে বহিষ্কার হন। ২০১৪ সালের ৭ মে মাসে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন। ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে দল গঠন করেন। ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরও একটি নতুন দল গঠন করেন। দুদিন আগে দলটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পেয়েছে।
নাজমুল হুদার স্ত্রী ব্যারিস্টার সিগমা হুদা। তাদের দুই মেয়ে, অন্তরা সামিলা ও শ্রাবন্তী আমিনা।