রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বহুতল ভবনে বিস্ফোরণে নিহত হন মুন্সীগঞ্জের আবু জাফর সিদ্দিক তারেক। গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে বিস্ফোরণের সময় তিনি ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ক্যাফে কুইন রেষ্টুরেন্টে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন । এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই আওলাদ (২৫) বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের (৩৩) বাড়ি গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে। এ ঘটনায় একই জেলার মহিউদ্দিন আখন্দ (৫০) নামে আরও একজন নিহত হয়েছেন। তিনি ভবনটিতে একটি স্যানিটারি দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায়।
গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে ভবন থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত ৩টার দিকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আজ সকালে নিজ নিজ এলাকায় তাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত মহিউদ্দিন আখন্দের ভাতিজা হামিদুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকাল ৭টার দিকে আধারার সৈয়দপুর আল আমিন দাখিল মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে চাচার (মহিউদ্দিন আখন্দ) মরদেহ দাফন করা হয়েছে।’
অপর নিহত আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের ভাই মো. মাসুদ বলেন, ‘স্যানেটারি পণ্য আনতে গিয়ে ওই ভবনের ক্যাফে কুইন রেষ্টুরেন্টে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তারেক। এ সময় তার সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই আওলাদ বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুরে গেছে। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।’ বুধবার সকাল ৮টার দিকে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে বহুতল ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ নিহত মুন্সীগঞ্জ