সৌদিতে নিহত ওমরাহ যাত্রী সবুজের বাড়িতে বুকফাটা আর্তনাদ

Spread the love

‌‘ও রে বাবারে তুমি কোথায় গেলা রে। ওরে বাবারে, ওরে বাবারে, তুমি কোথায় গেলা।’ এভাবেই আর্তনাদ করে যাচ্ছেন সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি সবুজ হোসাইনের বাবা মো. হারুন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে সবুজের বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্না থামছে না।

সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সবুজসহ ৮ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সবুজ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকার রাঢ়ী বাড়ির মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুনের বড় ছেলে। তারা চার ভাইবোন। এরমধ্যে সবুজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সবুজের বাবা হারুন মাছ বিক্রি করে সংসার চালায়। আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বচ্ছল নয়। প্রায় ৩ বছর আগে বড় ছেলে সবুজকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। তার পাঠানো টাকাতেই পরিবার স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছে। খুব শিগগিরই সবুজ দেশে ফেরার কথা ছিল। এর আগে সে ওমরাহ করবে বলেছিল। কিন্তু ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সোমবার (২৭ মার্চ) বাস দুর্ঘটনায় সবুজ আহত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৌদি থেকে খবর আসে, সবুজ মারা গেছে।

এদিকে খবর পেয়ে রাতে সবুজের বাড়িতে যান রায়পুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তারেক আজিজ জনি। এসময় তিনি সবুজের বাবার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু সবুজের বাবার বুক ফাটা আর্তনাদ আর কান্না ছাড়া কোনো শব্দ ছিল না বলে জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা জনি। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা।

যুবলীগনেতা তারেক আজিজ জনি বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ছেলেটি ভালো ছিল। তার পরিবারের সবাই কান্নাকাটি করছে। সবুজের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।