চাচার জন্য ‘কপাল পুড়ল’ সাদিক আব্দুল্লাহর!

Spread the love

দুজনই বঙ্গবন্ধু পরিবারের সন্তান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন ফুফাতো ভাই, আরেকজন অপর ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে দুজনই চেয়েছেন নৌকার মনোনয়ন। তবে ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আবারও মনোনয়ন পাবেন এমনটা নিশ্চিত ছিলেন তার ঘনিষ্ঠজন ও কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিয়ে তার জায়গায় আওয়ামী লীগের টিকিট পেলেন সাদিক আব্দুল্লাহর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত।

ফলে ২০১৮ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হওয়া তরুণ প্রভাবশালী রাজনীতিক সাদিক আব্দুল্লাহ তার চাচার কাছে ধাক্কা খেলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তিনি বর্ষীয়ান নেতা ও সাদিক আব্দুল্লাহর বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছোট ভাই।

পাঁচ বছর আগে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মজিবুর রহমান সরোয়ারের সঙ্গে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বরিশালের নগর পিতা হওয়ার পর সাদিক আব্দুল্লাহ নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন। দলের মধ্যে গ্রুপিং করারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দলের একাধিক গ্রুপের মারামারির ঘটনা, বরিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনার পেছনেও তার ইন্ধনের অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে দলের মনোনয়ন পাওয়ার পথ খুব একটা সহজ ছিল না বলে আওয়ামী লীগের ভেতরে বাইরে আলোচনা ছিল।

এদিকে হঠাৎ করে নির্বাচনের মাঠে নামা তার চাচা মনোনয়ন চাইবেন এমন খবরের পর আরও চাপ তৈরি হয় সাদিক আব্দুল্লাহর জন্য। সম্প্রতি তার পক্ষে মনোনয়ন তোলার পর ভারত থেকে দেশে ফিরে সাদিক আব্দুল্লাহ মনোনয়ন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন এমন আলোচনাও আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো চেষ্টাই কাজে আসেনি।

সাদিক আব্দুল্লাহ ২০১৬ সালে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৯ সালে সর্বশেষ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বেলা ১১টার দিকে গণভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৬ মে। ১৮ মে মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২৫ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। ২৬ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটকেন্দ্র ১২৩টি। মোট ভোটার দুই লাখ ৭৪ হাজার ৪০৭ জন।