টাকা নয়, রান বাড়াতে চেয়েছি : শচীন টেন্ডুলকার

Spread the love

গতকাল ৫০ বছরে পা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। গতকাল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের একটি গেটের নামকরণ করা হয়েছে তাঁর সম্মানে। এর দুই দিন আগে আইপিএলে মুম্বাইয়ের ম্যাচের সময় পুরো গ্যালারি ছেয়ে গিয়েছিল টেন্ডুলকারের মুখোশে। জন্মদিনে নিজ দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি সেঞ্চুরি করা এই তারকা। তুলে ধরা হলো এরই চুম্বক অংশ।

প্রশ্ন : নব্বইয়ের দশকে আপনার উত্থানের সময় খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছিল ক্রিকেট। সেই সময়টা মানিয়ে নিয়েছেন কিভাবে?

শচীন টেন্ডুলকার : আমি সম্ভবত প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার যে কিনা বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর করছিল একজন এজেন্টের মাধ্যমে। এর আগে পর্যন্ত এজেন্টের ধারণা ভারতীয় ক্রিকেটে ছিল না। চুক্তি নিয়ে দর-কষাকষি করতে চাচ্ছিলাম না। এটা আমার কাজ নয়। রানের সংখ্যার চেয়ে ব্যাংক ব্যালান্স কখনো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। অথচ তখন বলা হচ্ছিল আমার মনোযোগ নাকি অর্থের দিকে। কিন্তু আমি টাকা নয়, রান বাড়াতে চেয়েছি।

প্রশ্ন : ভারতরত্ন খেতাব পাওয়া আর পুরো বিশ্বের মহাতারকা হলেও শৈশবের সেই টেন্ডুলকারকে কখনো হারাতে দেননি আপনি?

টেন্ডুলকার : কখনোই আমার অর্জনকে বড় করে উদযাপন করা হয়নি। সবাই খুশি হয়েছে, প্রেরণা জুগিয়েছে আর পাশে থেকেছে। বাড়িতে সব সময় একটা জিনিস বলা হতো, ‘গোটা বিশ্ব গত ম্যাচ নিয়ে কথা বলুক, আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব।’

প্রশ্ন : এখন ক্রিকেটের নিয়ম পরিবর্তন হচ্ছে ঘন ঘন। এই পরিবর্তন দেখছেন কিভাবে?

টেন্ডুলকার : বারবার নিয়ম বদল করায় সব কিছু কঠিন হয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটে। খেলাটার তিনটি সংস্করণ। খুব কম খেলাই আছে যা তিনভাবে খেলা হয়। একটা নির্দিষ্ট নিয়ম ধরে থাকা উচিত।

প্রশ্ন : ক্রিকেটের রিভিউ কি বেশি জটিল মনে হয়?

টেন্ডুলকার : আমার সহজ কথা, বল যদি স্টাম্পে লাগে তাহলে আউট। এটা দুই দলের বেলাতেই সমান। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরেই তো রিভিউ নেওয়া হয়। তাহলে আম্পায়ার্স কলটা থাকবে কেন? এটা তো একটা কাপে একটু কফি আর চা মিশিয়ে নাড়া দেওয়ার মতো হচ্ছে! থার্ড আম্পায়ারের কাছে যাওয়ার পর আম্পায়ারের কাছে ফেরার মানে হয় না।

প্রশ্ন : টি-টোয়েন্টির আবির্ভাব আরো আগে হলে আপনার ক্যারিয়ার কি অন্য রকম হতে পারত?

টেন্ডুলকার : আমার মনে হয় না তেমন কিছু হতো। অনেক বিশেষজ্ঞ ছিলেন যাঁরা জীবনে একটা বলও খেলেননি, অথচ গলা ছিল ক্রিকেট খেলা অনেকের চেয়ে উঁচু। টি-টোয়েন্টিই সবচেয়ে সহজ সংস্করণ।

প্রশ্ন : ৫০ বছর বয়সে এসে কোনো অপূর্ণতা?

টেন্ডুলকার : আমার কোনো আক্ষেপ নেই। আমার প্রথম ইনিংস (খেলোয়াড়ি জীবন) ছিল ২৪ বছরের। দ্বিতীয় ইনিংসে আরো অনেক কিছু অর্জন করতে চাই।