লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে দুর্বৃত্তরা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। দুর্বৃত্তের গুলিতে নোমান ঘটনাস্থলে ও রাকিবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, নোমানের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের পর কয়টি গুলি সেটা বলা যাবে। অন্য এক জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। তার গায়েও গুলির চিহ্ন রয়েছে।
নিহত নোমান বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই ও রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ছিলেন।
দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, ঘটনার আগে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান পোদ্দারবাজারে ছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যদের বিদায় দিয়ে তিনি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাকিবকে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পথেই দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও নোমানের মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় আক্রমণকারীরা। পরে গুলির শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে নোমান ও রাকিবকে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে নিহত যুবলীগ নেতা নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান হাসপাতালে সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতির সন্ত্রাসীরা তার ভাই নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করেছে।’
জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, ‘আমরা এ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা গুরুত্বসহকারে কাজ করছি।’
অপরদিকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীদের দায়ী করে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।