গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে প্রথম পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেই গুজরাটের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) যখন নিজ শহরে খেলতে নামবে তার ঠিক তার এক দিন আগে দেশে ফিরে এলেন লিটন দাস।
আগে থেকে আন্দাজই করা যায়নি লিটনের দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে। ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, লিটন কি আর কলকাতায় ফিরবেন? মাঝের এই সময়টায় কেকেআরের সঙ্গে থাকার কারণে পুরো টাকা পাবেন? না কি তার বেতন কাটা হবে?
আইপিএলের চলতি মৌসুমে লিটনের কলকাতা নাইট রাইডার্সে আর ফেরার সম্ভাবনা নেই। কারণ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে রোববার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ দল উড়াল দিবে ইংল্যান্ড উদ্দেশ্যে। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯, ১২ ও ১৪ মে তিনটি ওয়ানডে খেলবে তামিম ইকবালের দল। এর আগে ৫ মে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তাই দলের সঙ্গেই ইংল্যান্ডের বিমান ধরবেন লিটন।
এদিকে ৫০ লাখ রুপিতে নিলামে লিটনকে কিনেছিল কলকাতা। লিটন নিজেও উৎসাহী ছিলেন আইপিএলে খেলতে। তাই দেশের হয়ে খেলার ফাঁকেও যতটা সময় পেরেছেন দলের সঙ্গে থেকেছেন। কিন্তু মাঝের এই সময়টা মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে কেকেআর। এর মধ্যে শুধু দিল্লি ম্যাচেই কলকাতার হয়ে খেলেছেন লিটন। সেই ম্যাচে খারাপ ব্যাটিং এবং ততোধিক খারাপ উইকেটকিপিংয়ের জন্যে শিরোনামে আসেন।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার যদি দেশের হয়ে খেলার জন্য পুরো আইপিএল দলের সঙ্গে না থাকতে পারেন, তা হলে ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে পুরো বেতন দেয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ নয়। এ ক্ষেত্রে যতগুলি ম্যাচে তাকে পাওয়া গিয়েছে (খেলা এবং না খেলা মিলিয়ে), ততগুলি ম্যাচের জন্য তাকে টাকা দেয়া হবে।
অর্থাৎ, ৫০ লক্ষ রুপি দিয়ে লিটনকে কেনা হয়েছিল অন্তত ১৪টি ম্যাচে খেলার জন্য (কোয়ালিফায়ার বাদ দিয়ে)। সে ক্ষেত্রে প্রতি ম্যাচে লিটনের প্রাপ্য ছিল আনুমানিক সাড়ে তিন লক্ষ রুপির আশপাশে। সে ক্ষেত্রে পাঁচটি ম্যাচের জন্যে সাড়ে ১৭ লক্ষ রুপির মতো পেতে পারেন। সেখান থেকে কর বাবদ রুপি কাটা হবে। আসলে লিটন কতটা টাকা পাবেন, সেটা জানা কার্যত অসম্ভব।