চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আজ (৩০ এপ্রিল)। এ বছর ১১ টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এ বছর মোট ১১ টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮ টি। এরমধ্যে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪ টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬ টি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬ টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫ টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭ টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭ টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০ টি।
এ বছর পূর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় সকাল ১০ টা এবং শেষ হওয়ার সময় দুপুর ১ টা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গ্রুপভিত্তিক পরিসংখ্যান হতে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন, মানবিকে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে।
গত ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের প্রশ্নপত্রের সকল সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে এবং প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌছে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন)।
২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৭ হাজার ২৫৪ জন। এই বিভাগে পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭ হাজার ৩২০ জন। ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি/দাখিল/এসএসসি ভোকেশনাল) ও দাখিল ভোকেশনাল) পরীক্ষার তুলনামূলক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। এরমধ্যে ছাত্র ছিল ১০ লাখ ৯ হাজার ৫১১ জন এবং ছাত্রী ছিল ১০ লাখ ১২ হাজার ৩৫৭ জন। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল হতে ২৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে হতে ৩০ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল হতে ২৫ এপ্রিল এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে থেকে ৩ জুন এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২৩ মে পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত চলবে ।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তিনি অভিভাবকদের গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, কেউ গুজব সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না।
তিনি বলেছেন, পরীক্ষার আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। শিক্ষা বোর্ডসমূহের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিকভাবে তথ্যাদি আদান-প্রদান করবে। পরীক্ষা শেষ হবার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সূত্র: বাসস