নায়ক ফারুক ও নায়িকা শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত
গত ১৫ মে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি নায়ক ফারুক। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হয় তিনি। বরেণ্য এই নায়কের মৃত্যুতে শোকের চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর।
নায়ক ফারুক অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা ‘সুজন সখি’। সাদাকালো এই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন আরেক কিংবদন্তি সারাহ বেগম কবরী। ১৯৯৪ সালে ‘সুজন সখি’ নতুন করে নির্মাণ করা হয়। এই সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সালমান শাহ-শাবনূর।
শাবনূর ফেসবুকে লিখেছেন, আমার ভীষণ সৌভাগ্য হয়েছিল ওই সময় ফারুক সাহেবের সাদাকালো দুইটা ছবিতে কাজ করার ‘রঙিন নয়ন মণি’ ও ‘রঙিন সুজন সখি’। এজন্য আমি আমাদের লিজেন্ডারি পরিচালক শাহ আলম কিরণ ও মতিন রহমানের কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ। ফারুক ভাইয়া আমার দুটি ছবি দেখেই ভীষণ প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন, উনি এখন সুজন কিংবা নয়ন হতে পারলে আমাকেই সখি বা মনি বানাতেন।
খারাপ লাগার বিষয় হলো সাদাকালো ও রঙিন সুজন সখির মধ্যে ফারুক ভাইয়া, কবরী আপা, সালমান শাহ কেউই পৃথিবীতে নেই। ব্যাপারটা ভাবতেই মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু উনারা সকলেই আমাদের মনে সারাজীবন বেঁচে থাকবেন।
স্মৃতিচারণ করে শাবনূর আরো লিখেছেন, এই তো কিছুদিন আগে মনে হচ্ছে সেদিন দেখা হলো উনার সাথে আমার। আমি তাকে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম যখন উনি ইলেকশনে জয়ী হলেন। উনি আমার মাথায় হাত দিয়ে অনেক দোয়া দিলেন আর বললেন, ‘তুই সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ খুলে সমাজের জন্যে অনেক ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছিস। আমি শিগগিরই তোর স্কুল ভিজিট করতে যাব। কিন্তু উনার আর ভিজিট করা হলো না!
তার সাথে আমার সাথে অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। উনাকে বাইরে থেকে অনেকেই গম্ভীর মনে করতে পারেন কিন্তু আসলে উনি তা নন। আমার সাথে উনার প্রথম দিনের শুটিং এর ঘটনাটি ছিল ভীষণ মজার। আমি ভীষণ ইতস্তত বোধ করছিলাম উনার সঙ্গে কথা বলতে। তারপর উনার সাথে কথা বলে বুঝলাম উনি আসলে ভীষণ মজার একটি মানুষ। উনি খুব আদর করতেন আমাকে।