অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা না দেওয়ায় সাভারের আশুলিয়ায় মো. হৃদয় হাসান (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রকে হত্যা করেছে বন্ধুরা। নিহত হৃদয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপহরণের দশ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৮ই মে) বিকেলে আশুলিয়ার মোজারমিলের শিববাড়ি এলাকার স্টান হাউজিংয়ের পুকুর থেকে নিহতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪।
এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে র্যাব-৪।
আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর থানার পশ্চিম দাস পাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে মুয়াজ হোসেন পরান (২২), বগুড়ার সোনাতলা থানার মহেশপাড়া গ্রামের তাহেরুল ইসলাসের ছেলে মো. সুমন বাপ্পী (২৩) এবং নওগাঁ জেলার মুসা আলীর ছেলে আকাশ মিয়া (২০) ।
এ বিষয়ে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার মূল হোতা পরান ও নিহত হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। হৃদয়ের বাবা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল। পরান ও তার সহযোগী মো. সুমন, আকাশ মিয়া এবং পলাতক আসামি শাহীন সুকৌশলে হৃদয়কে ডেকে নিয়ে এসে রশি দিয়ে বেঁধে তার মা’কে কল করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা প্রথমে হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর, তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় রিকশায় করে আশুলিয়ার মোজারমেল এলাকার পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়।’
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’