সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধেই ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। নিজে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাননি। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের চাপে একপর্যায়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর তার ভাই, ভাতিজি ও ভাগ্নেসহ পরিবারের ১৪জনকে বিভিন্ন পর্যায়ে চাকরি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা চাকরি পেয়ে দুর্নীতি জড়িয়ে পড়েন এবং তারা প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে অন্যায় সুবিধা আদায় করে নেন। নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন তারা।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ভাই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এপিএস) সাহাবুদ্দিন, ভাতিজি কলকারখানা ও পরির্দশন প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামীমা সুলতানা হৃদয় ও ভাগ্নে কেন্দ্রীয় তহবিলের সহকারী পরিচালক ইয়াসিন আরাফাত পৃথিবীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে।
জানা গেছে, মুন্নুজান সুফিয়ানের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের মধ্যে ১৪ জনকে চাকরি দিয়েছেন। প্রথমে তার ছোট ভাইকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে ভাইয়ের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়কে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, হৃদয়ের স্বামী মেহেরাব পাটোয়ারীকে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেন। এছাড়া প্রতিমন্ত্রীর বোনের ছেলে এ এম ইয়াসিনকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সহায়তায় গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের সহকারী পরিচালক পদে চাকরি দেওয়া হয়। পরে প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজি, ভাতিজি জামাতা ও ভাগ্নেকে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। আর তারা পুরো মন্ত্রণালয় নিজেদের কব্জায় নেন। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি জানলেও কিছু করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধেই ছিলেন। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা শ্রম মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান এবং খুলনার সব ধরনের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি শামীমা সুলতানা হৃদয় ও ইয়াসিন আরাফাত পৃথিবীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়। কিন্তু সেই অনুসন্ধানকাজ এখনো শেষ হয়নি। তদবিরের কারণে অনুসন্ধান বন্ধ রয়েছে। ওই অভিযোগের অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিজেদের পক্ষে নিতে প্রতিমন্ত্রীর এপিএস মো. সাহাবুদ্দিন দুদককে ম্যানেজ করার কথা বলে কলকারখানা ও পরির্দশন প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের ঢাকা ও গাজীপুর অফিসের উপ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন। প্রতিমন্ত্রীর বাসায় এক বৈঠকে দুইজন ডিআইজি এ পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: ড. ইউনূসনিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: ড. ইউনূস
এদিকে, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, তার ছোট ভাই এপিএস সাহাবুদ্দিন, ভাইয়ের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, ভাগ্নে ইয়াসিন আরাফাত পৃথিবী বিরুদ্ধে ফের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ-তারা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে আত্মীয়-স্বজনদের শ্রমিক দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রদানের নামে লোপাট করেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য, সিন্ডিকেট করে নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ বছর তারা খুলনায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে থাকা একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, তার ভাই, ভাতিজি ও ভাগ্নে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাদের ইশরায় চলতো মন্ত্রণালয়। দেখা গেছে, কোনো কোনো কাজে প্রতিমন্ত্রীর সাপোর্ট ছিল না, তিনি অ্যাকশনে যেতে চাইছেন, কিন্তু তিনি সেটি করতে পারেননি। অ্যাকশনে গেলে তার ভাই, ভাতিজি, ভাগ্নে তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে। তখন তারা বাধা হয়ে দাঁড়াতেন। আবার এই বিষয়টি যখন তার ছোট ভাই এপিএস সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী জানতেন, তখন প্রতিমন্ত্রী খুলনায় বাড়িতে গেলে সাহাবুদ্দিন, তার স্ত্রী ও মেয়ে হৃদয় খুবই চাপ প্রয়োগ করতেন। প্রতিমন্ত্রীর তখন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারতেন না। কারণ তাদের ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর আপন কেউ ছিল না, তিনি তাদের কাছে খুবই অসহায় ছিলেন। আর এ সুযোগটি ব্যবহার করে তার ভাই এপিএস সাহাবুদ্দিন, ভাতিজি হৃদয় ও ভাগ্নে পৃথিবীসহ বিভিন্ন নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি বাণিজ্য, কল-কারখানা থেকে মাসোয়ারা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করতেন। এসব বিষয় মন্ত্রণালয়ের সবাই জানতেন। প্রতিমন্ত্রীও মুখ বুঝে এসব মেনে নিতেন। পারিবারিক চাপে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে শামিল হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছিলেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মকবুল। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, তিনি মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি পিএ হলেও সব সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন না। কারণ প্রতিমন্ত্রীর ভাই, ভাতিজিসহ অন্য স্বজনরা তাকে পছন্দ করতেন না। তাকে মন্ত্রণালয়ের বসার জন্য অফিস পর্যন্ত দেয়নি। তারা চায়নি যে তিনি সব সময় কাছাকাছি থাকেন। এ কারণে তিনি খুলনায় বেশি থাকতেন। বিশেষ করে প্রতিমন্ত্রী খুলনায় গেলে তিনি প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে খুব একটা যেতেন না। প্রতিমন্ত্রী তার পরিবারের সদস্যদের চাপে ছিলেন। তিনি চাইলেই ইচ্ছামতো কাজ করতে পারতেন না।
প্রতিমন্ত্রীর পারসোনাল অফিসার (পিও) ছিলেন হাসান। জানতে চাইলে তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, তিনি সব সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে থাকেননি। তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বেশি চাকরিও করেননি। এ কারণে সব বিষয় তার নজরে পড়েনি। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিমন্ত্রীর পিএ মকবুল ও পিও হাসান সব বিষয় জানলেও গোপন রাখতে চাইছেন।
দুদক ম্যানেজে ৪০ লাখ টাকা দিতে চান এপিএস সাহাবুদ্দিন, শামীমা সুলতানা হৃদয় এবং ইয়াসিনের অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি অনুসন্ধানে নামে সংস্থাটি। অনুসন্ধান টিম ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর হৃদয় ও পৃথিবীর অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা, এনবিআর, রাজউক, ভ‚মি অফিস, সিটি করপোরেশন ও রেজিস্ট্রি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে নোটিশ পাঠান।
অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় ব্যবহার করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এরপর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু অনুসন্ধান কাজ শেষ হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর সেটি বন্ধ রাখতে চেষ্টা তদবির শুরু করে মুন্নজানের এপিএস সাহাবুদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় সফলও হন। ফলে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া অনুসন্ধান ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও শেষ হয়নি। দুদকের হাত থেকে বাঁচতে এপিএস সাহাবুদ্দিন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি দুদককে ম্যানেজ করতে ৪০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। পরে এই টাকা যোগাড় করতে এপিএস সাহাবুদ্দিন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গাজীপুরের অফিসের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহমেদ বেলাল ও ঢাকার ডিআইজি এ কে এম সালাহউদ্দিন সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে (হেয়ার রোডের নিলয়-৬) বৈঠক করেন। বৈঠকে গাজীপুরের ডিআইজি ৩০ লাখ ও ঢাকার ডিআইজি ১০ লাখ টাকা দিতে রাজী হন।
এ বিষয়ে জানতে এপিএস সাহাবুদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে। আর বৈঠকে অংশ গ্রহণ ও টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন গাজীপুরের ডিআইজি আহমেদ বেলাল। ঢাকার ডিআইজি একেএম সালাউদ্দিনের মোবাইলফোন কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, এপিএস সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় অনুসন্ধান সম্পন্ন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক ইকবাল হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। তিনি দুদকে এসে একবার বক্তব্য দিয়ে গেছেন। এছাড়া তার সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি। টাকার বিষয়ে সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।
দুদকের কাছে থাকা অভিযোগে বলা হয়, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টরের গার্মেন্ট শ্রমিকদের সহায়তায় গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করা হয়। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেসব পণ্য রপ্তানি হয় প্রতিটি কার্যাদেশের বিপরীতে প্রাপ্ত মোট অর্থের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে এ তহবিলে জমা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মেহেবার পাটওয়ারী ও হৃদয়কে চাকরি দেওয়ার পর মন্ত্রীর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। তারা মন্ত্রণালয়ে আসার পর থেকে প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব ও ক্ষমতা খাটিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নেন। ২০২৩ সালের শেষ দিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে ৯৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগে বড় ধরনের বাণিজ্য হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে যেসব উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আছেন তাদের বদলী নিয়ন্ত্রণ করতেন ভাতিজি হৃদয়। এছাড়া পরিদর্শকদের কাকে কোথায় দেওয়া হবে সেটিও তিনি ঠিক করতেন। একই অবস্থা শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী ও উপপরিচালকদের বদলীর ক্ষেত্রেও।
অভিযোগ আছে, কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর ও শ্রম অধিদপ্তরের নিয়োগ-বদলী বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে এ এম ইয়াসিন। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ছাড়া অন্য যেসব বাণিজ্যিক কোম্পানি রয়েছে, সেগুলো বছরে যে পরিমাণ লাভ করে শ্রম আইন অনুযায়ী তার ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করার নির্দেশনা আছে। এই ৫ শতাংশকে ১০০ ভাগ করে তার ১০ শতাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা করতে হবে। যার ৮০ ভাগ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়, সেখান থেকে একটি অংশ লোপাট করতো এ এম ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। তারা কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরির্দশন অধিপ্তর থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা গাজীপুর জেলা অফিস থেকে আসতো।
মন্নুজান সুফিয়ানের সম্পদ, দুদক থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরে ৫ কাঠা জমি, খুলনার দৌলতপুরের সাহেববাড়ি রোডে ৩ তলা বাড়ি, ২টি গাড়ি, কেডিএর মৌথুরী হাউজিং প্রকল্পে ১৬ দশমিক ৭ কাঠা জমি রয়েছে। এছাড়া তার ভাই সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবীর নামে-বেনামে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ফ্ল্যাট, প্লট ও ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে।
উৎস: দেশরুপান্তর