বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করবে ভারতীয় আমেরিকানরা

Spread the love

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ও দেশটির কংগ্রেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন এক ভারতীয় আমেরিকান কমিউনিটি নেতা। ডাক্তার ভারত বড়াই নামে এই নেতা বার্তাসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা কাজ শুরু করবেন।

এই নেতা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পোস্ট দিয়েছিলেন সেটি তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। আর এ বিষয়টি কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে তারা ট্রাম্পকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেন, কমিউনিটির সদস্যরা (ভারতীয় আমেরিকান) অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে নতুন প্রশাসন ও কংগ্রেসকে সম্পৃক্ত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ভারত বড়াই বলেন, তাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি যদি বন্ধ হয়ে যায়, যা তাদের ব্যবসার ৮০ শতাংশ, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ খাবে কী?

তিনি বলেন, যদি তারা হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের হয়রানি করতে থাকে, তাহলে ভারতেরও উচিত তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

এর আগে, গত ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের কয়েকদিন আগে এক্স পোস্টে ট্রাম্প ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছেন’ এমন দাবি করে বাংলাদেশের সমালোচনা করেন। ট্রাম্প লেখেন, আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে।

ট্রাম্প আরও লেখেন, আমি থাকলে (ক্ষমতায়) এগুলো কখনো হতো না। কমলা এবং জো বাইডেন হিন্দুদের আমেরিকাসহ পুরো বিশ্বব্যাপী উপেক্ষা করেছেন। ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন, আমাদের দক্ষিণ সীমান্তসহ সব জায়গায় তাদের অবস্থা যা-তা। কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব।

তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। এখন যেহেতু উনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, তাই অবশ্যই উনি দেখতে পারবেন ঘটনা আসলে কী ঘটেছে। আমরা মনে করি, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রচুর অপতথ্য বা ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস রয়েছে, তারা দেখবে বাংলাদেশে কী ঘটছে বা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা আদৌ ঘটেছে কি না। যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিজয়ী প্রেসিডেন্ট তখন নিশ্চয়ই প্রকৃত চিত্র জানতে পারবেন।
ইত্তেফাক/এসকে