বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাতকানিয়ার ছাত্রলীগ ক্যাডার মিজানুর রহমান জয় ও হাসান মুরাদ। সম্প্রতি নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে ওমরাহ পালনের ছবি পোস্টে করেন তারা। সৌদি আরবে ওমরা হজ পালনকালে তোলা ছবি দিয়ে তারা এখন সাধু সাজছেন। তাদের এই ছবি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
মিজানুর রহমান জয় সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও হত্যা মামলার আসামি। হাসান মুরাদ ঢেমশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। ২ জনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাতকানিয়ার কেরানীহাটে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতেন।
গত ৪ আগস্ট সাতকানিয়ায় গুলিবর্ষণ ও সহিংসতার পর পালিয়ে যান মিজানুর রহমান জয় ও হাসান মুরাদ। এরপর তারা কোথায় আত্মগোপনে ছিলেন। সে বিষয়ে এখনো আলোচনা থেমে নেই। এরই মধ্যে ঘটনার ৩ মাস পর নতুন করে আলোচনায় আসেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওমরাহ হজ পালনের ছবি দিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন এই ২ ছাত্রলীগ ক্যাডার।
তাদেরে ওমরাহ হজ পালনের ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। অনেকেই মন্তব্য করে করেন, ‘মানুষ মেরে ওমরাহ পালন, সৃষ্টিকর্তার সাথে দারুণ অভিনয়।’
একজন বলেন, ‘মানুষ মেরে এখন সাধু সাজছেন।’ কেউ বলছেন, ‘ছাত্রলীগের হাতে রক্তের দাগ এখনো লেগে আছে। বাংলার মাটিতে আপনার জায়গা হবে না। আপনার বিচার আল্লাহ অবশ্যই করবে।’ অন্য কেউ বলেন, ‘দেশে আসেন ব্রো, সব হিসাব দিয়ে যাইয়েন। যতগুলো কুকাম করছেন এগুলোর হিসাব দিয়ে যাইয়েন।’
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাতকানিয়ায় রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। ওইদিন বিকালে কেরানীহাট এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে আওয়ামী ক্যাডাররা। তবে ছাত্র-জনতার পাল্টা প্রতিরোধে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনোমতে পালিয়ে রক্ষা পান ছাত্রলীগ ক্যাডার মিজানুর রহমান জয় ও হাসান মুরাদ। এরপর কীভাবে দেশ থেকে পালিয়ে সৌদি আরবে যান, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।