সোনার গয়না চুরি করার দায়ে , ২৩৫ বছরের কারাদণ্ড থাই নারীর

Spread the love

যে থালায় খাওয়া সেই থালাতেই ফুটো! একজন থাই নারীকে তার নিয়োগকর্তার দোকান থেকে কয়েক ডজন সোনার গয়না চুরির দায়ে ২৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দোকান মালিক সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে জানতে পারেন ওই নারী একবার, দুইবার নয় ৪৭ বার চুরি করেছেন। গয়নার দোকানটি উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের খোন কায়েন এলাকায় অবস্থিত, যেখানে সোমজিৎ খুমডুয়াং নামের ওই নারী কাজ করতেন। দোকান থেকে গয়না খোয়া যাওয়ায় মালিকের সন্দেহ হতে শুরু করে। যখন তিনি তার দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করেন, তখন তিনি দেখতে পান যে সোমজিৎ ২০২১ সাল থেকে গয়না চুরি করতে শুরু করেছে। মোট ৪৭ বার চুরি করেছেন তিনি। একদিন ওই কর্মীর জামার ভিতর থেকে একটি সোনার হার পড়ে যায়। সাফাই দিয়ে সোমজিৎ বলেছিলেন, ভুল করে হয়তো তার জামায় আটকে গিয়ে সেটি পড়েছে। কিন্তু দোকানের মালিক যা বোঝার বুঝে গিয়েছিলেন। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরই ওই মহিলা কর্মী গ্রেফতার হন। দোকানের মালিকের দাবি, কমপক্ষে ৬ কোটি টাকার গয়না চুরি করেছেন তিনি। পুলিশি তদন্তেও উঠে এসেছে, বিগত কয়েক মাসে জমি থেকে শুরু করে নতুন বাইক এবং একাধিক সোনা-হিরের গয়না কিনেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেগুলি ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছেন। জানা গেছে, যে দোকান থেকে ওই নারী চুরি করেছেন সেখানে তিনি ১০ বছর ধরে কাজ করছিলেন। দোকানের মালিক জানান,সোমজিৎ খুমডুয়াংকে হাতেনাতে ধরার পর তিনি তাকে চুরির জিনিস ফেরত দিয়ে দিতে বলেছিলেন। তা দিলে হয়তো তিনি তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতেন না। কিন্তু এমনটা তিনি করেননি। শুধুমাত্র ১ কোটি টাকা মূল্যের জিনিস ফেরত দিয়েছিলেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশ ডাকেন। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, আদালতে মামলা ওঠার পর ওই নারীকে ২৩৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক ।

সূত্র : news18.com