বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচনের যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে। সাবেক স্বৈরাচার দেশী-বিদেশী প্রভুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচনের যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে। সাবেক স্বৈরাচার দেশী-বিদেশী প্রভুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’ চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই কেবল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে তা বিএনপিও চায়। বিএনপিই প্রথম ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারগুলো টেকসই করতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন। সংসদে বসেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন।’
বেশি সংস্কার করতে গিয়ে নির্বাচন করতে দেরি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেয়া হয়েছে। যার বিরুদ্ধে দেশের লক্ষ কোটি মানুষ এক যুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করেছে, সেই স্বৈরাচার কিন্তু বসে নেই। তাদের দেশী-বিদেশী প্রভুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। একমাত্র একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব ধীরে ধীরে দেশের সমস্যাগুলোর সমাধান করা।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সক্ষম উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রকৃত ব্যক্তিরা নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবেন, যারা সত্যিকার অর্থেই জনগণের কথা বলবেন, জনগণের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করবেন। প্রতিটি সেক্টরের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে চিন্তা করবেন। একটি প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে যদি প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন, তাহলেই একমাত্র সম্ভব।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশবাসী বিএনপিকে দায়িত্ব দিতে চায়। দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আজ সবাই মিলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আমরা যে যেই পর্যায়ের নেতা বা কর্মী হয়ে থাকি না কেন, সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করব। আপনাকে বুঝতে হবে আপনার কাছে আপনার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা কী এবং তা অনুধাবন করে কাজ করতে হবে।’
এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, মেহেরপুর জেলা বিএনপি সভাপতি মাসুদ অরুণ ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ (রুমী) প্রমুখ।