আমরা বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল নই, তারা নির্ভরশীল: বিজেপি নেতা শুভেন্দু

Spread the love

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল নই। ওরা নির্ভরশীল। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের পর বিশ্বরাজনীতির ছবি পাল্টে যাবে।’

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে সনাতন সমাজ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় শুভেন্দু অধিকারী এ কথা বলেন।

ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে এ সমাবেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এ কারণে টানা পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বাংলাদেশের সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর।

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এদেশের মানুষ।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরাতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে সরকার আছে, সেটি অবৈধ কেয়ারটেকার সরকার। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রসহ মানবতাবাদী দেশগুলো এই অবৈধ সরকারকে অপসারণে এগিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন এবং তাকে সম্মানের সঙ্গে স্যালুট জানানো হবে।

এদিকে, হিন্দুত্ববাদ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে কথা বলেন। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জিকে কোনও হিন্দু গ্রহণ করে না। তিনি রেড রোডে দাঁড়িয়ে সরাসরি আরএসএস, বজরঙ্গ দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে দাঙ্গাবাজ বলেন। তিনি হিন্দু দেব-দেবীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে পারেন না।

এদিকে কলকাতার শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে বাঙালি হিন্দু সুরক্ষা সমিতির ডাকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে অবস্থান ধর্মঘট করেন সনাতনীরা। তারা অবিলম্বে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরির দাবি জানান।

অপরদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কলকাতার কেস্টপুরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকেরা।

এদিকে শান্তিতে নোবেলজয়ী শিশু অধিকারকর্মী কৈলাশ সত্যার্থী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আজ মানবাধিকারের এই বিপর্যয়ে আমি হতাশ। বাংলাদেশে যেন মানবাধিকার বন্দী করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নেই। অবিলম্বে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হোক।’