আওয়ামী লীগ সরকরারে আমলে গুম হওয়া বেশিরভাগ ব্যক্তিকে হয় হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
শনিবার বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। আজ রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ওই প্রতিবেদনের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।
এতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের হত্যার তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমিশন গুমের পর ‘মেরে ফেলার পদ্ধতি সম্পর্কে যাচাইকৃত বিস্তারিত প্রতিবেদন’ পেয়েছে। একটি কার্যকর পদ্ধতি হলো মাথায় গুলি করা। এরপর মরদেহ সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া অনেককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘র্যাবে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তারা এই পদ্ধতিকে মরদেহ ডুবিয়ে দেওয়ার আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।’ প্রতিবেদনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন।
‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া রিপোর্টে কমিশন সদস্যরা এ পর্যন্ত প্রাপ্ত এক হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন বলে জানিয়েছেন।