আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন এবং পরে দেশ ছেড়েছেন—এমন প্রমাণ সরকারের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেই নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রেসসচিব বলেন, তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ আর কী হতে পারে।
উনি তো জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন করা হবে।’
প্রেস উইং থেকে আরো জানানো হয়, তফসিল বা দিনক্ষণ ঘোষণার কাজ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। সরকারের দায়িত্ব তাদের সহায়তা করা।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কিভাবে পালিয়ে গেলেন, তা জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজি) এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।