ওসি প্রত্যাহার, খবর শুনে থানায় পাওনাদারদের ভিড়

Spread the love

ওসি ফরিদ আহম্মেদ

ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে এমন একটি চিঠি আসে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে সব কিছু ঘুটিয়ে তড়িঘড়ি করে নান্দাইল মডেল থানা ছেড়ে ময়মনসিংহে চলে যান তিনি। এমন খবর পেয়ে স্থানীয় বাজারের দোকানদার, ব্যবসায়ী ও বিচার প্রার্থীরা এসে থানা ফটকে ভিড় জমান। তাদের দাবি, ওসি ফরিদ আহমেদ তাদের কাছ থেকে আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বাকীতে ক্রয় করে টাকা পরিশোধ করেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর নান্দাইল মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন ফরিদ আহমেদ। কিছুদিন নান্দাইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ধীরে ধীরে চুরি, ছিনতাই ও মাদক কারবার বেড়ে যায়। এছাড়াও গ্রেপ্তারসহ মামলা বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে। এদিকে নান্দাইলে থাকাকালীন সময়ে দুই বার জেলার শ্রেষ্ট ওসি হিসেবে পুরস্কার পান। তারপরেও কেন নান্দাইলের এই অবস্থা সাধারণ বিচার প্রার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন।

নান্দাইল বাজারের ইসহাক মার্কেটে ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন খান রেনু জানান, ওসি ফরিদ আহমেদ পরিবারের জন্য শীতে কাশ্মেরী শালসহ অনেক দামি পোষাক ক্রয় করেছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ করেনি, যার বকেয়া ওসির কাছে পাওনা ১ লাখ ৪ হাজার ২৫০ টাকা রয়েছে। ওসি বদলি হওয়াতে পাওনা টাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।

সুবর্ণ ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক ফরহাদ জানান, ফ্যানসহ বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক্সের মালামাল ওসি ক্রয় করেন। যার টাকা পাওনা, এছাড়াও ১১ হাজার টাকা ওসির কাছে পান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি ফরিদ আহমেদ এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরিপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, একজন ওসির কাছে সাধারণ জনগণ ব্যবসায়ী টাকা পাবে সেটি দুঃখজনক। এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করবো।