গাজায় প্রাণঘাতী ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। গত ১২ ঘণ্টায় যে হামলা চালানো হয়েছে তার অধিকাংশই খান ইউনিসে। সেখানে শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক বাড়ি ও অস্থায়ী তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো মানুষ আটকা পড়ে আছে। তাই সেখানে মরদেহ ও জীবিতদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কেবল খান ইউনিসেই নয়, গাজা শহরের জেইতুন পাড়াতেও রাতভর হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলিরা কিছু আবাসিক বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং কমপক্ষে দুইজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়।
দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও বেইত লাহিয়াতেও ক্রমাগত বোমা হামলা চলছে।
পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও খারাপ হচ্ছে। পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য যে কোনো ধরনের খাবার খুঁজছে ফিলিস্তিনিরা। গত এক মাসে গাজায় একটিও ট্রাক প্রবেশ করেনি। তাই খাবার নেই, জ্বালানি নেই, রান্নার গ্যাস নেই। এমনকি ওষুধও নেই, আশ্রয় বা তাঁবুও নেই।
গাজার পরিস্থিতি শ্বাসরুদ্ধকর। পরিবারগুলোকে এক গ্যালন পানি ভর্তি করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। গরম খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। আসন্ন দিনগুলোতে বিদ্যমান রান্নারঘরগুলোও বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কারণ প্রয়োজনীয় মজুত শেষ হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ও তাদের সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য সংগ্রাম করছে। স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ডাক্তাররা বলছেন, হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও চিকিৎসা সরবরাহ না থাকায় মানুষের চিকিৎসা করা খুবই কঠিন।
সূত্র: আল-জাজিরা