ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গাজার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, বিতরণকেন্দ্রগুলোর দিকে যাওয়ার সব রাস্তা আজ থেকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই জিএইচএফের ঘোষণামাফিক কেউ যেন বিতরণকেন্দ্রের দিকে না যায়।
গাজায় বুধবার ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ত্রাণ নিতে আসা বহু ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর এ সতর্কতা হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। খবর আল জাজিরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জিএইচএফ জানিয়েছে, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর সংস্কার, পুনর্গঠন ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কার্যক্রম বন্ধ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে জানিয়ে জিএইচএফ লিখেছে দয়া করে কেউ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে যাবেন না। সাধারণ নির্দেশনাবলি মেনে চলুন।
এদিকে ভিন্ন এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গাজার বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, বিতরণকেন্দ্রগুলোর দিকে যাওয়ার সব রাস্তা আজ থেকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই জিএইচএফের ঘোষণামাফিক কেউ যেন বিতরণকেন্দ্রের দিকে না যায়।
গত ২৭ মে গাজায় পুনরায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে জিএইচএফ। এ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া অভুক্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৭ মে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে ১০২ জনের, আহত কয়েকশ।
তবে জিএইচএফ শুরু থেকেই বিতর্কিত। জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থা জিএইচএফের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ—সংগঠনটি নিরপেক্ষ নয়। মূলত গাজায় ইসরায়েলি সহায়তার সামরিকীকরণের অংশ হিসেবে কাজ করছে তারা।