অনুমতি ছাড়াই শিক্ষিকার আমেরিকায় অবস্থান, পাচ্ছেন বেতনও

Spread the love

যশোরের চৌগাছা উপজেলার এক শিক্ষিকার তথ্য গোপন করে আমেরিকায় যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বড়খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নিশাত মুনাওয়ারা গত ১ ডিসেম্বর আমেরিকা গেছেন।

দুই মাসের মেডিকেল ছুটিতে গিয়ে তিনি ফেরেননি। আবার ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ছুটি বাড়ানোর আবেদনও করেছেন। চাকরিবিধি অনুযায়ী ভিসা গ্রহণে বিভাগীয় অনুমতিও (এনওসি) তিনি নেননি। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষা কর্মকর্তারা জানলেও তিনি নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা বলেন, নিশাত মুনাওয়ারা ১ ডিসেম্বর থেকে দুই মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যোগদান না করায় ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি লিখিতভাবে বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে (টিও) জানিয়েছেন।

বুধবার সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়টিতে প্রাথমিক তদন্তে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অনুমতি ছাড়াই কীভাবে নিশাত আমেরিকা গেলেন প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নেন।

জানা গেছে, নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে নিশাত মুনাওয়ারা ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি যোগ দেন। এ সময় তার স্বামীর নাম আরনল্ড রাজীব দেখিয়েছিলেন। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ে যোগদানের পর নিশাত আরেকটি বিয়ে করেন। জানা গেছে, নিশাত মুনাওয়ারা নামের কোনো নারী যশোর পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেনি।

চৌগাছা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ইউনুছ আলী বলেন, ডিসেম্বরের বেতন ওই শিক্ষিকার হিসাবে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বেতন তৈরি করে শিক্ষা অফিস, ছুটির অনুমোদনও করে ওই অফিস।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিশাত আমেরিকায় চলে গেছেন বিষয়টি জানতাম না। দুই মাসের মেডিকেল ছুটির দরখাস্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভুল করে তার হিসাবে বেতন চলে যেতে পারে। ছুটি বাড়ানোর দরখাস্ত পেয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও জানান, বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে (ডিপিও) জানানো হয়েছে।

উপজেলার কাঁদবিলা-ঝাউতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রেহেনা আক্তার জানান, তার মেয়ে নিশাত আমেরিকায় চলে গেছে। স্বামীর কাছেই আছে। স্বামীই তাকে নিয়ে গেছেন।