ইন্দোনেশিয়া এসে ‘অস্থায়ী বিয়ে’: আমোদ-ফুর্তিতে আরব পর্যটকরা

Spread the love

ইন্দোনেশিয়ার গ্রামাঞ্চলের গরিব নারীদের অস্থায়ীভাবে বিয়ে করে আমোদ-ফুর্তি করছেন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পর্যটক। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব দেশের বেশির ভাগ পর্যটক ইন্দোনেশিয়ার পুনকাকে যান। সেখানেই অস্থায়ীভাবে বিয়ে করতে পারেন তারা । এজন্য কাবিনের অর্থ পরিশোধ করতে হয় । যতদিন এ পর্যটক ইন্দোনেশিয়ায় থাকেন, ততদিন ‘অস্থায়ী বিয়ে’ করা নারীকে নিজের স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেন। এরপর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ডিভোর্স দিয়ে যান। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পাহাড়ি রিসোর্ট কোটা বুঙ্গাতে পুরুষ পর্যটকরা দালাল সংস্থার মাধ্যমে স্থানীয় নারীদের সঙ্গে পরিচিত হন । এরপর দালালরাই অস্থায়ী বিয়ের সব ব্যবস্থা করে। দুই পক্ষ যখন একমত হয়, তখন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিয়ে পড়ানো হয় । এরপর ঐ পুরুষ পর্যটককে কাবিনের অর্থ দিতে হয় ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানিয়েছে, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত এ অস্থায়ী বিয়ে পুনকাকের পর্যটন খাতকে বৃদ্ধি করেছে। সেখানে অনেক বেশি পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। যাদের বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব দেশ থেকে আসেন । আগে অনেক গরিব পরিবার তাদের মেয়েদের পর্যটকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এ অস্থায়ী বিয়ের ব্যবস্থা করত। কিন্তু এগুলো এখন দালাল সংস্থাগুলোই করে থাকে।

কাহায়া নামের এক তরুণী লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে জানিয়েছেন, তার বয়স যখন মাত্র ১৭ বছর ছিল, তখন থেকেই অর্থের বিনিময়ে অস্থায়ী বিয়ে শুরু করেন তিনি। এ পর্যন্ত ১৫ জনেরও বেশি পুরুষকে বিয়ে করেছেন, যাদের সবাই পর্যটক এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, তার প্রথম স্বামী ছিলেন ৫০ বছর বয়সি সৌদি আরবের এক নাগরিক । ঐ সৌদি তাকে কাবিন হিসেবে ৮৫০ ডলার দিয়েছিলেন । কিন্তু এ অর্থের অর্ধেক নিয়ে গিয়েছিল এক দালাল।

অন্যদিকে তাদের বিয়ে টিকে ছিল মাত্র পাঁচ দিন। সাধারণত শিয়া মুসলিমদের মধ্যে এমন অস্থায়ী বিয়ের প্রচলন দেখা যেত। কিন্তু এখন এ বিয়েকে নীতি-নৈতিকতাহীন হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে তারাই।