‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১১ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা বেগম জিয়াকে দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বহুবার তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারা তা আমলে নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, যদিও তারা অনির্বাচিত, তবুও আমি আবার তাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে তার চিকিৎসার করার জন্য। অন্যথায় সব দায়দায়িত্ব কিন্তু এই সরকারকে নিতে হবে।
এদিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্টে একটি ৯৫ শতাংশ ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানো হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে। তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়।
হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে শুক্রবার গভীর রাতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতায় ভুগছেন।