বিদেশি কোচরাও সুজনকে ‘চাচা’ ডাকেন!

Spread the love
sujon

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ খালেদ মাহমুদ সুজন। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলে বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সুজনকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফরা চাচা বলে ডাকেন।

ছেলেদের মুখে চাচা ডাক শুনে বিদেশি কোচরাও সুজনকে সে নামেই ডাকা শুরু করেন। বর্তমান হেড রাসেল ডমিঙ্গোও সুজনকে চাচা সম্বোধন করেন।

এর ব্যত্যয় ঘটেনি বাংলাদেশ দলে নতুন যোগ দেওয়া পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের বেলায়ও।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সুজনকে চাচা হিসেবে সম্বোধন করেন এ সাবেক প্রোটিয়া পেসার।

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ডোনাল্ডকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ দলের পেসারদের শেখানোর ক্ষেত্রে তাকে ভাষাজনিত কোনো সমস্যায় পড়তে হয় কিনা?

এর জবাবে ডোনাল্ড বলেন, ‘আমি আগে এটি নিশ্চিত করি, সবসময় চাচা যেন আমার আশপাশে কাছাকাছি থাকে। আমার বার্তাটা যেন পেসাররা ঠিকঠাক পায় এটি আগে নিশ্চিত করি। আমরা বাইরে তেমন কথা বলি না। তবে প্রতিটি বিরতিতে ড্রেসিংরুমে কথা বলি।’

ডোনাল্ডের এমন জবাবের পর পরই সাংবাদিকদের প্রশ্ন— খালেদ মাহমুদ সুজনকে চাচা ডাকলেন কেন? এর উত্তর দিতে গিয়ে সুজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ডোনাল্ড।

বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, তাকে যেন চাচা ডাকি। বাংলাদেশ যখন প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল, তখন আমি এই ছোটখাটো গড়নের মিডিয়াম পেসারকে দেখেছি। তখন সে বেশ বর্ণিল চরিত্রের ছিল। তাকে আমার খুব ভালো লেগেছিল।’

প্রোটিয়া কোচ বলেন, ‘তার (সুজন) মধ্যে পিতৃত্বসুলভ গুণাবলি রয়েছে। দলের সব খেলোয়াড় তাকে শ্রদ্ধা করে। যে কোনো পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য দারুণ ব্যক্তি সে। আপনার যদি কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়, চাচা সেটি সহজেই করে দেন।’

শুরুতে চাচা সুজনের সাহায্য নিতে হলেও এখন তেমনটির প্রয়োজন পড়ছে না। পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেনরা ইংরেজি কথাও ঠিকঠাক ধরতে পারছেন বলে জানালেন ডোনাল্ড।

টাইগারদের পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘এখন তারা বুঝতে শুরু করেছে। ইংরেজি কথার মূলভাবটা ধরতে পারছে খালেদ-এবাদতরা। তাই আমি মনে করি বার্তাটা যথাযথ হওয়া উচিত। তাই কৌশলগত পরিকল্পনার সময় আমরা আলোচনা সহজ রাখতে চেষ্টা করি। যাতে কিছু জটিল না হয়।’