চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় বাসার দুই গৃহকর্মী শান্তা বেগম ও আমেনা বেগম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত তাদের সাক্ষ্য নেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে চার জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। আদালত আগামী ২ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদ। বাদীপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সুমন এ তথ্য জানান। আর গত বছর ২৯ নভেম্বর দু’আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি খবর পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজের উত্তর পাশের একটি ঝোপ থেকে বস্তাবন্দি এক অজ্ঞাত নারীর (৩২) মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মরদেহের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
তদন্তকালে জানা যায়, মরদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭-৮ টার মধ্যে তাকে খুন করা হয়।
শিমুকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯ আগস্ট কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দু’জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।